ওরসে পাকে গাউছে আজম শাহে মাইজভান্ডারকা
আশেকুঁকো শওকছে তশরীফ লানা চাহিয়ে।
অত্র বিজ্ঞপ্তি মূলে অবগত করিতেছি যে,
আসছে ১০ ই মাঘ রোজ শুক্রবার ১৩৮১ বাংলা মোতাবেক ২৪ শে জানুয়ারী সাবেক পদ্ধতীতে গাউছে পাকের পবিত্র স্মৃতি বার্ষিকী ওরস শরীফ হজরত আক্দাছের মাজার শরীফের পাশে-হুজুরা শরীফ গাউছিয়া আহমদীয়া মঞ্জিলের সামনে অনুষ্ঠিত হইবে।
কামেলের মাজার জান সর্ব্বদুঃখ হারি
প্রেমিকের প্রাণে ঢালে শান্তি সূধা বারী
হাফেজ সিরাজীর বাণী-
যেই দরজাটি লোকের হাজত মকছুদ পূরণের মেহরাবে পরিণত, সেই ঘরটি আকর্ষী সরাবের মত জনপ্রিয় কাম্য আকর্ষক এবং পেয়ারা সাব্যস্ত।
পবিত্র মীলাদ শরীফের পরেই – হজরতের নির্দ্দেশিত চট্টগ্রামী দস্তুর মত নেয়াজ (তবরুক) বিতরণ করা হয়। হজরতের ওরস শরীফ বা অনুষ্ঠান – প্রতিষ্ঠানাদির জন্য কারো নিকট থেকে যাঞ্চা,মাগা বা চাওয়ার নিয়ম নাই। স্বতঃ প্রদত্ত শ্রদ্ধা এবং ভক্তি সম্পন্ন হাদীয়াই গ্রহণ করা হয়। যাহা “খাইন” শাসক কর্ত্তৃক পাইকারী মত নহে।
যেই সকল ফিকিরবাজ-ফেরকাবাজ ব্যবসা-বুদ্ধি সম্পন্ন লোকেরা এই সকল উদ্দেশ্য দেখাইয়া বিভিন্ন নামে ভুয়া মিথ্যা ঠিকানা প্রকাশে নিজেরা বা স্বার্থপর এজেন্ট দ্বারা রসিদ ইত্যাদি দেখাইয়া টাকা এবং নানা বস্তু উশুল করে , তাহারা হজরতের পুত্র বংশ বা অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠানের মালিক ওয়ারিশ বা সংশ্লিষ্ট মোন্তাজেম লোক নহে।
সকলের অবগতির জন্য ইতিপূর্ব্বে বহুবার দৈনিক পত্রিকা মারফত প্রতিবাদ লিপি প্রকাশ করিয়াছি, এখনো বলিতে চাই যে, গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর বংশধর আওলাদগণ বাড়ী বাড়ী গিয়া ছায়ের ব্যবসা করেনা ,যাহা গাউছিয়ত নীতি বিরুদ্ধ। এই সকল ফিকিরবাজ,শঠ,প্রবঞ্চকগণ হজরতের পুত্র বংশ বা হজরতের নামীয় অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠানাদির মালিক-ওয়ারিশ মোন্তাজেম নহে।
আমার পাঁচ ছেলে (১) সৈয়দ জিয়াউল হক (২) সৈয়দ মুনিরুল হক (৩) সৈয়দ এমদাদুল হক (৪) সৈয়দ দীদারুল হক (৫) সৈয়দ শহীদুল হক –শাহজাদাগণই , গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী মওলানা শাহ ছুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কঃ) ছাহেবের এবং আমার পুত্র বংশধর আওলাদ (অলদ) অন্য কেহ নহে।
প্রথম পুত্র সৈয়দ জিয়াউল হককে তাহার অবস্থার প্ররিপ্রেক্ষিতে মসজিদ পুকুরের উত্তরদিকে আমার নিজস্ব বাগান বাড়ীতে পাকা-দালান, “স্যানিটারী ল্যাট্রিন” ইত্যাদির সুব্যবস্থা করিয়া এবং তাহার প্রাপ্য জমি-জমা তুল্লাংশে ভাগ-বন্টন মতে দিয়া পৃথক বসবাসের ব্যবস্থা করিয়া দিয়াছি। এখন তিনি নিজের অবস্থায় প্রতিষ্ঠিত।
দ্বিতীয় পুত্র সৈয়দ মুনিরুল হক (চার্জ্জ) মোন্তাজেম,৩য় পুত্র সৈয়দ এমদাদুল হক সাজ্জাদানশীন ও নায়েব মোন্তাজেম। চতুর্থ পুত্র সৈয়দ দীদারুল হক পঞ্চম পুত্র সৈয়দ শহীদুল হক নায়েব মোন্তাজেম সহ এই চারিজনই মোন্তাজেম হিসাবে গাউছিয়া আহমদীয়া মঞ্জিলে অবস্থান করিতেছে। হজরত আক্দাছের আস্তানা পাকের হুজুরা শরীফ –গাউছিয়া আহমদীয়া মঞ্জিল রওজা শরীফ – ওরস শরীফ স্মৃতি জড়িত , অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠানাদির আইন-সঙ্গত এন্তেজামকারী বৈধতামতে মোন্তাজেম জিম্মাদার।
সৈয়দ এমদাদুল হক হানফী মজহাব-সুন্নতে এজমা বিধি ফতওয়ামতে আমার মনোনীত সাজ্জাদানশীন সাব্যস্ত। যাহারা খোদায়ী ফজীলত (শ্রেষ্ঠত্ব) সম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম বিক্রি পূর্বক ব্যবসা করে। তাহাদের খপ্পর হইতে রক্ষার মানসে বুজুর্গ –ভক্ত ও খোদা পেয়ারা ব্যক্তিদিগকে সতর্ক করিতেছি। যেহেতু দুর্নীতির প্রশ্রয় প্রদানকারীও দুর্নীতিবাজের সমান। কামেলের অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান ও স্মৃতির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা,বিরোধিতা,অবৈধ-বেআইনী ও পাপ।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, আমার মেয়েদিগকে তাহাদের উপযোগী জমা-জমি পৃথক দানপত্রমূলে দান করিয়াছি ছুফী সভ্যতা প্রচার “জ্ঞান ভান্ডার” পাঠাগারের জন্য মং ১০,০০০ দশ হাজার টাকা দান করিয়াছি।
এতদ্সঙ্গে আমি ঘোষণা করিতেছি যে,আমার অবর্তমানে হজরতের হুজুরা শরীফে আমার গদীর উত্তরাধিকারী বর্তমান নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ এমদাদুল হককে আমি মনোনীত করে আমার স্থলাভিষিক্ত করিলাম। শিক্ষা দীক্ষা শজরা দান এবং ফতুহাত নিয়ন্ত্রণ অধিকার সম্পন্ন , এই গাউছিয়ত জারী –সফলতা দানকারী সাব্যস্ত করিলাম।
ইতি-
খাদেমুল ফোক্রা
সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী
সাজ্জাদানশীন-গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিল,
চট্টগ্রাম,বাংলাদেশ।
নফ্ছে ইনসানীর কুপ্রবৃত্তি বন্ধ করে রূহে ইনসানীর সুপ্রবৃত্তি জাগ্রত করার জন্য হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ) নির্বিঘ্ন ও সহজসাধ্য মাধ্যম হিসেবে সপ্ত-পদ্ধতির প্রবর্তন করেন। সপ্ত -পদ্ধতি দুই স্তরে অনুশীলিত হয়।
ফানায়ে ছালাছা বা রিপুর ত্রিবিধ বিনাশ স্তরঃ
১। ফানা আনিল খাল্কঃ পরমুখাপেক্ষী না হয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করা।
২। ফানা আনিল হাওয়াঃ অনর্থক কাজকর্ম ও কথাবার্তা হতে বিরত থাকা।
৩। ফানা আনিল এরাদাঃ নিজ ইচ্ছা বাসনাকে খোদার ইচ্ছায় বিলীন করে তাছলিম ও রজা অর্জন করা।
মাউতে আরবা বা প্রবৃত্তির চতুর্বিধ মৃত্যুঃ
১। মউতে আবয়্যাজ বা সাদা মৃত্যুঃ উপবাস ও সংযমের মাধ্যমে অর্জিত এই মৃত্যুতে মানব মনে উজ্জ্বলতা ও আলো দেখা দেয়।
২। মউতে আছওয়াদ বা কালো মৃত্যুঃ সমালোচনায় বিরক্ত বা রাগান্বিত না হয়ে আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজকে সংশোধনের মনমানসিকতা অর্জনই কালো মৃত্যু।
৩। মউতে আহমর বা লাল মৃত্যুঃ কামস্পৃহা ও লোভ-লালসা হতে মুক্তিতে হাসিল হয়।
৪। মউতে আখজার বা সবুজ মৃত্যুঃ নির্বিলাস জীবন যাপনে অভ্যস্ত হওয়ার মাধ্যমে সবুজ মৃত্যু লাভ হয়।
এই কোরআনী হেদায়তের সপ্তপদ্ধতি ,মানবজীবনের এক নিখুত সহজ, সরল ও স্বাভাবিক পন্থা; যা মানব জীবন পদ্ধতিতে স্বাচ্ছন্দ্য আনয়ন করে।
কর্মসূচীঃ
চট্টগ্রামঃ জাকির হোসেন রোড,৬/জি,জাকির হোসেন সোসাইটি,রোড নং-৪,দক্ষিণ খুলশী,চট্টগাম-৪২০০ মোবাইলঃ ০১৭১১-৮১৭২৭৪,ফ্যাক্সঃ ০৩১-২৮৬৭৩৩৮
ঢাকাঃ ১০১,আরামবাগ,ঢাকা। মোবাইলঃ ০১৭১২-৫৪৯১৯৭
সিলেটঃ গ্রামঃআলুতল,ডাকঘরঃইসলামপুর,উপজেলা সদর,সিলেট। মোবাইলঃ ০১৮২৬-০৪৬৫৪৫ , ০১৩১-২৪৬৬৮৫
খুলনাঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও জিরো পয়েন্টের উত্তর পার্শ্বে মেইন রোড সংলগ্ন। মোবাইলঃ ০১৮৩০-১৪০৪৩৪
লাখো ভক্তের উপস্থিতিতে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক হযরত গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) এঁর ১১৭তম বার্ষিক ওরশ।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহছুফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।
সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় এবং নায়েব সাজ্জাদানশীন ও মোন্তাজেম সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর ওরশে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাইজভাণ্ডারে আসেন আশেক-ভক্তরা।
বাংলাদেশ ছাড়াও ছাড়াও ভারত, মিয়ানমার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, চায়না, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ওমানসহ নানা দেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত-অনুরক্ত অংশ নিতে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে আসেন।
সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘অলিগণ রাসূলের প্রতিনিধি। তাদের কারণে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসার লাভ করেছে। ইসলামের ক্রাান্তি লগ্নে সবসময় সুফীসাধকরাই ধর্মের আধ্যাত্মিক ও শরীয়তের অবকাঠামোর রক্ষকের ভূমিকায় অবর্তীর্ণ হয়েছেন। ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারের পাশাপাশি ইসলামের মৌলিক আদর্শ ও বিশ্বাসের সাাথে সমাজ সংস্কৃতির নৈতিক সংস্কারে আধ্যাত্মিক পূর্ণতা লাভের কারিগর হিসেবে কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী শাহসুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) মাইজভাণ্ডারী তরিকা প্রবর্তন করেছেন। মাইজভাণ্ডারী তরিকা ইসলামের মৌলিক আদর্শ ও আঞ্চলিক সংস্কৃতির মেলবন্ধনের চূড়ান্ত আধ্যাত্মিক রূপ। এ তরিকার অনুসারীরা ঐশি প্রেমনির্ভর শিক্ষা ও ইসলামী শরীয়তভিত্তিক চর্চায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন খান অ্যাগ্রো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দুল হক খান, ফনিক্স শিপিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সৈয়দ সোহেল হাসনাত ও চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবু তাহের এবং আওলাদে গাউছুল আজম শাহজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ এরহাম হোসাইন ও শাহজাদা সৈয়দ মানাওয়ার হোসাইন।
আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারী (শাহ এমদাদীয়া) কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সচিব শেখ মুহাম্মদ আলমগীরের পরিচালনায় ওরশে মিলাদ পরিচালনা করেন দারুত তায়ালীম প্রধান শিক্ষক মওলানা জয়নাল আবেদীন ছিদ্দিকী। ওরশ উপলক্ষে নায়েব সাজ্জাদানশীন ও মোন্তাজেম সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে মাইজভাণ্ডার ওরশ শরীফ সুপারভিশন কমিটির উদ্যোগে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়। বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনীয় গাড়ি পার্কিংসহ মেহমানদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে থাকা, সময়মতো জামাত সহকারে নামাজ আদায়, বিশুদ্ধ পানীয় জল, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন, আলোকসজ্জা, এবং প্রয়োজনীয় ওষুধসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যবস্থা করা হয়।
এছাড়াও গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর ওরশ উপলক্ষে সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় এবং নায়েব সাজ্জাদানশীন, মাইজভাণ্ডারী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ডিআইআরআই)’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১০ দিন ব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে ছিল: ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান; দারুল ইরফান শিক্ষা পরিবার সমাবেশ এবং প্রবাসী সদস্যদের পুনর্মিলনী ও তাসাউফ সংলাপ; শিক্ষা উৎসব ২০২৩, বিজ্ঞান প্রযুক্তি মেলা ও বিজ্ঞান বক্তৃতা এবং বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড; গাউছিয়ত নীতি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ, ছোটদের সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী বই প্রকাশ, আল বয়ান লিমা ইউশগিলুল আযহান বাংলা প্রকাশ, বেলায়েতে মোতলাকা ইংরেজী ভার্সন প্রকাশ, জ্ঞানের আলো প্রকাশ ও সকল বইয়ের ই-ভার্সন প্রকাশ; ক্লীন এন্ড গ্রীন কর্মসূচী ও খলিফায়ে গাউছুল আজম ও অন্যান্য দরবারের আওলাদগণের উপস্থিতিতে তাসাউফ সংলাপ; রক্তদান কর্মসূচি, ব্লাড ডোনার্স পুনর্মিলনী ও সেমিনার; স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ; শিক্ষক সমাবেশ ও সানডে ইনভাইটেড টক; হযরত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর (ক.) এঁর মাজার শরীফে গিলাফ চড়ানো।
এছাড়াও ১৫ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি প্রতিদিন বাদে মাগরিব থেকে অনুষ্ঠিত হয় পবিত্র খতমে কোরআন শরীফ, হযরত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এঁর জীবন, কর্ম শিক্ষা ও তাসাউফ ভিত্তিক আলোচনা ও মাইজভাণ্ডারী ছেমা মাহফিল। ওরশ উদযাপন উপলক্ষে ভক্তদের নিরাপত্তা বিধান এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। সুষ্ঠুভাবে ওরশ সমাপ্ত করতে সহযোগিতা করায় ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)।
“তাহাজ্জুদের নামাজ পড়,ছালাতু তছবীহের নামাজ পড়িও, কোরান শরীফ তেলাওয়াত করিও।”
“কবুতরের মত বাছিয়া খাও। হারাম খাইও না, নিজ সন্তান সন্ততি নিয়া খোদার প্রশংসা কর ।”
“গাউছে মাইজভান্ডারীর আদর্শ উর্ধে তুলিয়া ধরিলে বিশ্ববাসীর চোখ চট্টগ্রামের মাইজভান্ডার দরবার শরীফের দিকে ঘুরিয়া যাইবে।”
“ঈমান ছাড়া এত্তেবা হয়না,এত্তেবা ছাড়া মোত্তাবেয়ীন হওয়া যায়না।”
সমসাময়িক ও পরবর্তি ছুফী ওলামায়ে কেরাম তাঁর প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাঁর গাউছে আজমিয়তের স্বীকৃতি দিয়েছেন-
“গাউছে মাইজভান্ডারীর নিঃশ্বাসের বরকতে পূর্বদেশীয় লোকেরা খোদা পন্থী ,হাল ও জজ্বার অধিকারী হয়েছে। তিনি কবরস্থ হওয়ার ফলে বিভিন্ন কবরে উজ্জ্বলতা ও জালালী দেখা দিয়াছে। আহমদ উল্লাহ যিনি, তিনি সমস্ত অলিদের সর্দার যাহার ‘ছিফত’ উপাধি গাউছুল আজম।”-মরহুম মওলানা জুলফিকার আলী সাহেব।
“হযরত শাহ্ আহমদ উল্লাহ কাদেরী,যিনি ভূখন্ডের পূর্বাঞ্চলে বিকশিত কুতুবুল আক্তাব। তিনি মাইজভান্ডার সিংহাসনে অধিষ্ঠিত গাউছুল আজম নামধারী বাদশাহ।–
রসুলুল্লাহ (সঃ) এঁর নিকট বেলায়তে ওজমা বা শ্রেষ্ঠ বেলায়তের দুইটি সম্মান প্রতীক বা তাজ ছিল। এই সম্মান প্রতীক বা তাজ দুইটির মধ্যে একটি হযরত শাহ্ আহমদ উল্লাহ (কঃ) এঁর মস্তক মোবারকে নিশ্চিতভাবে প্রতিষ্ঠিত।
যেই কারণে তিনি পূর্বাঞ্চলে আবির্ভূত গাউছুল আজম বলিয়া খ্যাত,সেই কারণে তাঁহার রওজা মোবারক মানব-দানবের জন্য খোদায়ী বরকত হাছেলের উৎসে পরিণত হইয়াছে। ”- ,আলহাজ্ব মওলানা ছৈয়দ আজিজুল হক আল কাদেরী ছাহেব (শেরে বাংলা)
সাজ্জাদানশীনে দরবারে গাউছুল আজম রাহনুমায়ে শরীয়ত ও ত্বরিকত আলহাজ্ব হজরত মাওলানা শাহ্ ছুফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী (মঃ) এঁর আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় মাইজভান্ডার দরবার শরীফে ২৭ রবিউল আওয়াল ঈদে মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম।
১০ মাঘ ২৪ জানুয়ারী ২০২০ ইং গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী হজরত মাওলানা শাহ্ ছুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কঃ) এঁর ১১৪তম ওরশ শরীফ।
সাজ্জাদানশীনে দরবারে গাউছুল আজম রাহনুমায়ে শরীয়ত ও পীরে ত্বরিকত হযরত আলহাজ্ব মাওলানা শাহ্ ছুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী (মঃ জিঃ আঃ) এঁর ব্যবস্থাপনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প।
১। তেলাওয়াতে অজুদঃ নির্জন সময়ে গত দিনের ভাল-মন্দ কাজ-কর্মের বিচার ,চিন্তা ও ধ্যানের মাধ্যমে মন্দের জন্য অনুতাপ, অনুশোচনা,ভালোর জন্য নিজ পীরের অনুগত্য এবং খোদার সাহায্য কামনা ,মোনাজাত ,বিনয়ে প্রার্থনা –অনিবার্য। ফলে খোদা পথচারী নাছুত্ভাব কামনার উর্ধে ‘লাওয়ামা’ ‘মলকুত’ শক্তি জগতে উত্থিত হইতে সক্ষম হয়। যাহাকে ছুফি পরিভাষায় ‘ফানা আনিল খালক্’ বলে।
২। অনর্থ পরিহারঃ যাহা না হইলে চলে ও উপকার বিহীন ,এহেন কাজ-কর্ম,কথাবার্তা,বাক্বিতন্ডা ত্যাগ ,পরিহার,এড়াইয়া চলা এবং পরের দোষ তালাস না করা ,পরমুখাপেক্ষীতা ও পরশ্রীকাতরতা – বিমুখ হইয়া ,নিজ শক্তি সামর্থে হালাল রুজির প্রতি আস্থাশীল হওয়া। অপচয় ,অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার-যথাঃপান,বিড়ি-সিগারেট,অলঙ্কার,অঙ্গ বিকৃতকারী পোষাক পরিচ্ছদ,পবিত্র কোরান যাহাকে ‘মর্হান’ অহংকারী ‘ফাখুরাণ’ গর্বকারী বলে নির্দেশ করেছে,যাহা মানবের দৈহিক ,নৈতিক অবনতি ঘটায়, কর্ম বিমুখতা,অভাব অনটন ,আর্থিক দুর্গতি আনয়ন করে। ভূষণ,ফ্যাসন,মোহের ফলে আদি অসভ্যতা ‘পছন্দ’ হইয়া পড়ে। সুতরাং এ সমস্ত পরিহারের ফলে খোদা পথচারী ‘ছালেক’ কোরানের বাণী “মান্নাহান্ নাফ্ছা আনিল হাওয়া ফাইন্নাল জান্নাতা হিয়াল মাওয়া” মতে নিশ্চিত স্বর্গবাসী, ইহাকে ছুফি পরিভাষায় বলে ‘ফানা আনিল হাওয়া’।
৩। সন্তোষঃ খোদার মঙ্গলদায়ক ইচ্ছা শক্তির নিকট নিজ সংসার স্বার্থ বুদ্ধিকে নত করিয়া মঙ্গলদায়ক রূপের ধ্যানে ‘ছাবের’ ধৈর্যের সহিত অপেক্ষা করা। যেহেতু স্রষ্টা সৃষ্টির রক্ষক,পালক,বর্দ্ধক,মঙ্গলদায়ক। ছুফি পরিভাষায় এই গুনজ প্রকৃতিকে বলে ‘তছলিম’ বা ‘রজা’। এই ত্রিবিধ নীতিমালাই ‘ফানায়ে ছালাছা’ বা বিনাশ পদ্ধতি । যাহা হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী কেবলার সপ্ত পদ্ধতির অন্তর্গত। প্রথম অংশ ‘এবাদাতে মোত্নাফিয়া’ হিসাবে ‘ছালেক’ খোদা পথচারীর জন্য অপরিহার্য। উপরোক্ত গাউছিয়ত নীতিহীন,বিমুখ ব্যক্তির মাইজভান্ডারী তরিকার অনুসারী দাবী করা চলেনা।
বিনীত
খাদেমুল ফোক্রা সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী
সাজ্জাদানশীন,গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিল,মাইজভান্ডার শরীফ,ফটিকছড়ি,চট্টগ্রাম।
সুত্রঃমানব সভ্যতা